, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ , ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


সফলভাবে পেঁয়াজ সংরক্ষণ করলে সংকট দূর হবে : কৃষিমন্ত্রী

  • আপলোড সময় : ২৪-০৫-২০২৩ ১১:৪০:৩২ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৪-০৫-২০২৩ ১২:০৯:০৮ অপরাহ্ন
সফলভাবে পেঁয়াজ সংরক্ষণ করলে সংকট দূর হবে : কৃষিমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, সফলভাবে পেঁয়াজ সংরক্ষণ করতে পারলে দেশে পেঁয়াজ নিয়ে অস্থিরতা ও সংকট দূর হবে এবং পেঁয়াজ নিয়ে রাজনীতি বন্ধ হবে। মঙ্গলবার পাবনার সাথিয়া উপজেলার পূর্ব বনগ্রামে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর নির্মিত ‘পেঁয়াজ ও রসুন সংরক্ষণের দেশিয় মডেল ঘর’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে চাহিদার চেয়েও বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন হয়, কিন্তু এক-তৃতীয়াংশ পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে পেঁয়াজের ঘাটতি হয়, দাম অস্বাভাবিক হয়, নানান রকম রাজনীতি শুরু হয়। একই সাথে পাশের দেশ ভারত থেকে আমদানি বেশি করতে হয়, ভারত অনেক সময় রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে থাকে, এতে চরম সংকট দেখা দেয়। তাই পেঁয়াজ সংরক্ষণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

পেঁয়াজ খুবই পচনশীল একটি ফসল উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজ রাখা যায় না, শুকিয়ে যায়, পচে যায়। এর ফলে কৃষকেরা মৌসুমে কম দামে দ্রুত পেঁয়াজ বিক্রি করে দেয়। মৌসুম শেষ হলে পেঁয়াজের বাজার আমদানিকারক, ব্যবসায়ী ও সিন্ডিকেটের হাতে চলে যায়। তিনি জানান, পেঁয়াজ সংরক্ষণের এই পরীক্ষামূলক ঘরে ৪ থেকে ৫ মাস পেঁয়াজ সংরক্ষণ করা যাবে। এছাড়া পেঁয়াজ সংরক্ষণের মডেল ঘরে ব্যবহৃত বিদ্যুৎকে ভর্তুকি বা কৃষিখাতে বিবেচনা করার জন্য বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।

পেঁয়াজের আমদানি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, চাষি, উৎপাদক, ভোক্তাসহ সকলের স্বার্থ বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা হলো- কৃষক যেন তাঁদের ঘাম ও পরিশ্রমের সঠিক দাম পায়। অন্যদিকে কম আয়ের মানুষের জন্য এই অত্যন্ত প্রয়োজনীয় মশলা জাতীয় ফসল পেঁয়াজের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকে। এসময় কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মাসুদ করিম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর, পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পেঁয়াজ রসুন সংরক্ষণাগার (মডেল ঘর) সম্পর্কে সংশ্লিষ্টরা জানান, কৃষক পর্যায়ে পেঁয়াজ ও রসুন সংরক্ষণ পদ্ধতি আধুনিকায়ন এবং বিপণন কার্যক্রম উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে এসব ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। ঢাকা, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মাগুরা, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, রাজশাহী, পাবনাসহ ৭ টি জেলার ১২টি উপজেলায় ৩০০টি ঘর নির্মাণ করা হবে। এ বছর ২০২২-২৩ সালে মোট ৮০টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতিটি ঘরে ২৫০ থেকে ৩০০ মণ পেঁয়াজ ও রসুন সংরক্ষণ করা যাবে।সূত্র-বাসস

সেনাকুঞ্জে কুশল বিনিময় করলেন ‍ড. মুহাম্মদ ইউনূস-খালেদা জিয়া

সেনাকুঞ্জে কুশল বিনিময় করলেন ‍ড. মুহাম্মদ ইউনূস-খালেদা জিয়া